মুন্সীগঞ্জে সদর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় শাকিল মোল্লা (১৭) ও রিয়াজ উদ্দিন শেখ নামে ২ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার ২৮ শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২ জন মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজারে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থী মহিলা মেম্বার আরফা বেগমের কর্মী সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজয়ী প্রার্থী রাবেয়া বেগমের ভাগ্নে শাকিলের উপর হামলা করে। পরে শাকিলের মৃত্যু হয়। নিহত শাকিলের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সফিপুর থানার দোলারচর এলাকার কাচিকাটা গ্রামের হারুন মোল্লার ছেলে। নিহত শাকিল বিজয়ী প্রার্থী রাবেয়া বেগমের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
অপর দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের গোসাইবাগে স্বতন্ত্র (টেলিফোন) চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলী সিদ্দিকের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন শেখ মারা গেছেন। নিহত রিয়াজ উদ্দিন শেখের পরিবারের দাবী, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী হাজী মো. গোলাম মোস্তফার সমর্থকদের হামলায় রিয়াজ উদ্দিন শেখ নিহত হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী বিলকিস বেগম জানান, দুপুরে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আমার স্বামীকে হুমকি দেয়। ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী হাজী মো. গোলাম মোস্তফার কর্মীরা বাড়িতে ডুকে হামলা করে আমার স্বামীকে হত্যা করে। নিহতদের বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শৈবাল বসাক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শাকিলের মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্চসারের নিহত রিয়াজ উদ্দিন শেখের এর বিষয়ে তিনি জানান, নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ফলাফল ঘোষণার পর বাংলাবাজারের ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী ও পরাজিত প্রার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শাকিলের মৃত্যু হয়। এখনো মামলা হয়নি। আইন অনুযায়ী পরর্বতী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহত রিয়াজ উদ্দিন শেখের এর বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।