রংপুরের মিঠাপুকুরে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ক্লাবঘর নির্মাণের ঘটনায় শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরে অবস্থিত মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটি মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই পুকুরের এক শতক জায়গা দখল করে নেয়।
সেখানে তারা একটি ক্লাবঘর নির্মাণ করছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও প্রভাবশালীদের সহায়তায় বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে নিয়েছে দখলকারীরা। আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।’ গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মিঠাপুকুর বালিকা বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের প্রাচীর ঘেঁষা ১২ শতক জমিতে রয়েছে পুকুর। পুকুরের পশ্চিম দক্ষিন কোণায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে মাচা। মাচার ওপর ঢেউটিন দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ক্লাবঘর।
ক্লাবের সভাপতি মো. মাহাথির মন্ডল। তিনি স্থানীয় একজন প্রভাবশালীর নাতী। অন্য সদস্যরাও স্থানীয় বাসিন্দা। তবে, সবার বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। ক্লাবের সভাপতি মো. মাহাথির বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং কমিটির লোকজনের সাথে কথা বলে ক্লাবটি নির্মাণ করা হচ্ছে। গরীব ও অসহায় মানুষের সেবা করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’
বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি সভা করেছিলাম। বিদ্যালয়ের জায়গায় কোন ঘর নির্মাণ না করার জন্য তাদেরকে বলেছিলাম। কিন্তু তারা শোনেনি।’ বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, আমি মিটিংয়ে ছিলামনা। এছাড়া বেশ কিছুদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়নি। জমি দখলের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কোথাও অভিযোগ দেওয়া হয়নি।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি
আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।