মাদারীপুরের শিবচরে গলায় ফাঁস দিয়ে কেয়া মণি (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রী আত্নহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্ববর) সকাল ১০ ঘটিকায় শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কেয়া মণি ওই গ্রামের বাসিন্দা মো: হারুন মাদবরের মেয়ে। সে স্থানীয় ভদ্রাসন জি সি একাডেমির ১০ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে কেয়া তার মায়ের রান্নার কাজে সহযোগিতা করছিলো। এসময় তার মা মরিচ চাইলে মরিচ দিয়ে ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে সামনের ও পিছনের দরজা আটকিয়ে ঘরের বারান্দায় চালের কাঠের সাথে কাপড় দিয়ে ফাঁস দেন। কিছুক্ষন পরে তার মা তাকে ডাকাডাকি করলে কোন সাঁড়া শব্দ পান নি।পরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করলে ঝুলন্ত আবস্থায় দেখতে পান। কাপড় কেটে নামানোর সাথে সাথে মৃত্যু হয়।
নিহতের পিতা মো: হারুন মাদবর জানান, আমর মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন নিজাম নামের এক ছেলের সাথে প্রেম ছিল। বিষয়টি কেয়া মনির বান্ধবীর সূত্রে যানতে পারি। নিজাম গতকাল বিয়ে করতে অস্বীকার করলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে। আমি নিজামের কঠিন শাস্তি চাই যাতে নিজামের কারনে আর কোন বাবার বুক খালি না হয়।
শিবচর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রাম প্রসাদ জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে প্রণয়ঘটিত ব্যর্থতার কারণে সে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তবে ছাত্রীর পিতা-মাতা দাবি করেছেন, নিজাম নামের এক ব্যক্তির সাথে প্রেম ছিল। ছেলেটি বিয়ে করতে রাজি না থাকায় সে আত্মহত্যা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মিরাজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি ময়নাতদন্ত করার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়া পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।