মাদারীপুরের ডাসারে সড়ক নির্মানে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদার রাস্তার ইট রাতের আঁধারে নিতে চাইলে বাধা দেয় এলাকাবাসি। প্রতিবেদক অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে,এ বিষয় নিয়ে বারাবারি বা নিউজ করলে চাদা দাবির হুমকি দেয় ঠিকাদার শাহিন মিয়া।
উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ভুরঘাটা- শশিকর সড়কের কাঠেরপোল বাজার হইতে পশ্চিম বনগ্রামের দেড় কিঃমিঃ এলজিইডির পাকা রাস্তাটি রিপিয়ারিং এর কাজ ৫১ লক্ষ বরাদ্দে টেন্ডার হয়। নজরুল এ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে থাকেন এবং মাদারীপুরের শাহিন মিয়া(শাহিন ব্যাকারি)কাজটি ক্রয় করেন।
সড়কটি নির্মানের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে কাজটি করে আসছে জানা যায়। রাস্তার এজেন্টের দুপাশে যে পরিমান মাটি ধরাছিল তার ত্রিশ % ও দেয়া হয়নি। এক নাম্বার নতুন ইটদিয়ে এজেন্ট দেয়ার কথা থাকলেও তিন নাম্বার ইট দিয়ে এজেন্ট দেয়া হয়। ওই রাস্তার প্রায় সাতশত মিটার খোয়া ধরা, যাহা রাস্তার এজেন্টের ইটদিয়ে খোয়া তৈরি করে ব্যবহারের কথা থাকলেও না দিয়ে রোলার দিয়ে এজেন্ট চাপাদিয়ে ঢাবিয়ে লেবেল তৈরি করেন এবং ভোর রাঁতে এজেন্টের ইট মাহিন্দ্র টলি ভর্তি করে সরাতে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসি বাধা প্রদান করেন।
এ বিষয় ঠিকাদার শাহিন মিয়াকে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন আমি মাদারীপুরের ঠিকাদার, আমাকে চিনে না এমন কোন লোক নেই, কি নিউজ করবেন,করেন দেখি,সংবাদ হলে আমিও চাদাদাবির মামলা দিব। দেখেন নি মাদারীপুরের সাংবাদিকদের নামে মামলা দেয়া হইছে। এ ভাবে হুমকি প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, রাস্তার দায়িত্বে থাকা এসও মিলান কান্তি মুঠোফোনে বলেন, ওই রাস্তার কোন ইট নিতে পারবে না সব রাস্তার খোয়া হিসেবে ব্যবহার হবে বরং আর ইটের খোয়া লাগবে। ঠিকাদারের লোক এজেন্টের ইট,খোয়া যাহাতে নিতে না পারে।
ওই ঠিকাদার(শাহিন মিয়া) কালকিনির শিকারমঙ্গল এলাকার একটি কাজ এভাবেই করেছে। ওই রাস্তার কাজের অনিয়মের কারনে মাদারীপুরের এক্সএন স্যার সরজমিনে গিয়ে ভাল ভাবে কাজ করার কথা বলেন। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।