কালীগঞ্জ ঘাটে কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ধাক্কায় শিশু হামিদুর রহমান স্বাধীনের (৬) পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে ভোলা জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ও শিশু স্বাধীনের স্বজনরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে শিশু স্বাধীনের বাবা মো. হাসান আলী বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমার পরিবারসহ ভোলা ইলিশা ঘাট থেকে মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে রওনা হই। লঞ্চটি মেহেন্দীগঞ্জের কালীগঞ্জ (উলানিয়া) ঘাটে না বেঁধে চলতি অবস্থায় যাত্রীদের নামায়। আমার পরিবারসহ শতাধিক মানুষ তখন ঘাটে নামে। হঠাৎ পেছন থেকে লঞ্চটি সজোরে টার্মিনালে ধাক্কা দেয়। এ সময় আমার ছোট ছেলে স্বাধীন আমার হাত থেকে ছিটকে লঞ্চ ও টার্মিনালের মাঝে চাপে পড়ে। এতে তার দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমার ছেলে বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ দুর্ঘটনার পরপরই এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চটি দ্রুত ঘাট ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভোলা জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য জেলার যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। আর এই লঞ্চের চালক ও স্টাফদের খামখেয়ালি ও গাফিলতিতে এবং ক্ষমতার দাপটের কারনে ভোলাবাসী তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং স্বাধীনের চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেয় ভুক্তভোগীর পরিবার।