ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৭ জন পেশাদার মোটরসাইকেল চোরকে গ্রেফতার করে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের একটি টিম। এ সময় ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর ভেদুরিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মাে. জিয়া, চর ভেদুরিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের মাে. শহিদ এর ছেলে মাে. জাকির পন্ডিত (৩৯), মধ্য ভেদুরিয়া গ্রামের শাহে আলম ফরাজীর ছেলে মাে. সালাউদ্দিন (২৮), ২ নং ওয়ার্ডের চর ভেদুরিয়া গ্রামের মৃত মফিজুল হকের ছেলে মাে. রাকিব (২৭)। ভোলা সদর থানার আলীনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শামসুদ্দিন এর ছেলে মাে. সােহাগ (২৩), ভােলা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের উকিলপাড়ার বাসিন্দা মৃত মােফাজ্জেল হােসেনের ছেলে মাে. রাসেল, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আবুল বাশারের ছেলে মাে. আলী আজগর (২৫) ।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই (নি.) মো. গোলাম মোস্তফা, এসআই (নি.) মাে. রাজীব হােসেন, সঙ্গীয় ফোর্স এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের পেয়ে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনা কালে মোটরসাইকেল চুরির মূল হোতা মো. জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সে ভোলা সদর থানার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর ভেদুরিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। গ্রেফতারকৃত মো. জিয়া বিভিন্ন সময় মোটরসাইকেল চুরি করে তার ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে, ভুয়া রেজিস্ট্রেশন পেপার তৈরি করতাে।
গ্রেফতারের পর মাে. জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার বিভিন্ন তথ্য উদঘাটিত হয়। তার দেয়া তথ্য মতে, ভোলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মাে. ফরহাদ সরদার এর নেতৃত্বে ভােলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মাে. এনায়েত হােসেন এর সার্বিক সহযোগিতায় ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই (নিঃ) মাে. গােলাম মােস্তফা, সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে একই চক্রের আরো সাত জন পেশাদার মোটরসাইকেল চোরকে গ্রেফতার করে। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিদের থেকে নয়টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ লাখ দশ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে একই চক্রের আরাে অনেক সদস্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিসহ পলাতক আসামিরা যেসকল কর্মকাণ্ড করতো তা পেনাল কোড এর ৩৮০/৪১১/৪৬৮/৪৭০/৪৭১/৪৭২ ধারার অপরাধ। এই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।