ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় শ্বাসতি রানী চৈতি (২০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানোর হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া রোডের হরিবাড়ি সংলগ্ন গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে চরফ্যাশন থানা-পুলিশ।নিহত গৃহবধূর বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কর্মরত কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মনোজ কুমার চন্দ্র মজুমদার শাওনের স্ত্রী। গৃহবধূর বাবার বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়ের দ্বিতীয় মেয়ে।
এ ঘটনায় পুলিশ শ্বশুর সমির চন্দ্র মজুমদার ও স্বামী মনোজ কুমার চন্দ্র মজুমদার শাওনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শ্বাসতি রায় চৈতির সিলিং ফ্যান থেকে শাড়ি প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শ্বাশুড়ি নিয়তির বাড়ী শেরপুর জেলায়। এই ঘটনায় সে পলাতক রয়েছে। নিহত চৈতির পিতা সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, আমার মেয়ে মাস্টার্সের ছাত্রী। সে আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মেরে ফেলা হয়েছে।
পারিবারিকভাবে মনোজ কুমার মজুমদারের সঙ্গে এক বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে দেই। আমার মেয়ের শশুর এর পরিবাবার থেকে দীর্ঘ দিন যাবৎ যৌতুকের জন্য মেয়েকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। তার স্বামীর পরিবারের লোকজনের অমানবিক নির্যাতনে আমার চৈতি মারা গেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে, সমির চন্দ্র মজুমদারের পরিবার বর্গ দাবি করছে চৈতিকে হত্যা করা হয়নি স্বামীর সাথে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে। চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া বলেন, এজাহারভূক্ত মামলার দুই আসামিকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।