চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে এলাকার বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর ধরে এই এলাকার বাসিন্দাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে আছে কাদাপানির দুর্ভোগ। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। কোথাও রাস্তায় প্রায় অংশ খালের সাথে মিশে দু পায়ে চলাচলের অনুপযোগী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর বালিনা প্রায় ৫ কি.মি. রাস্তার বেহাল দশা। এই রাস্তা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিনা মাদ্রাসায় যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম, বৃষ্টির পানি জমে কোথাও কোথাও হয়ে গেছে গর্ত। অটোরিকশা, সিএনজিসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনার কবলে। ইট-পাথর-খোয়া উঠে গিয়ে কোথাও কোথাও নেই পায়ে হেঁটে যাওয়ার মতো অবস্থাও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি বহুদিন। তবে কেউ কেউ নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করলেও বৃষ্টির কারণে খানাখন্দ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । এ নিয়ে এলাকাবাসীসহ এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এলাকাবাসীরা জানান, বেহাল এই সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সড়ক যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই চলাচল করে রিকশা, অটোরিকশা সিএনজিসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ছেড়ে আসা এক সিএনজি যাত্রী বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না- এই সড়কে চলাচলকারী অসুস্থ ব্যক্তিদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এতে বিশেষ করে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী । আর ভোগ করতে হয় এই দুর্ভোগ। এ ছাড়াও বালিনা গ্রামের এ ব্যাপারে কাজী গোলাম কিবরিয়া বলেন বালিনাবাসীর দুঃখ এই রাস্তা টি, দেশ উন্নত হচ্ছে কিন্তুু এ সড়কের কোন পরিবর্তন নেই। এলাকাবাসীসহ এই সড়কে যাতায়াতকারীদের প্রাণের দাবী,যত দ্রুত সম্ভব এই রাস্তাটির সংস্কার করা হোক।