ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলায় দিন-রাত সমান তালে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে।এক ঘণ্টার মধ্যে ৫ থেকে ৮ বারও বিদ্যুৎ চলে যায়।যাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর বিদ্যুৎ এলেও তা কিছুক্ষণ ও থাকে না।রাতে তা দ্বিগুণ হয়ে অনেক বেড়ে যায়।কখনও কখনও এক ঘণ্টার মধ্যে ৩-৪ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘরে বিদ্যুৎ থাকে মাত্র ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন হাঁসফাঁস।বিদ্যুৎতের ভেলকিবাজিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।একতো প্রচণ্ড গরমে এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভোগান্তি চরম মাত্রা ধারণ করবে।এভাবে বিদ্যুৎ নিয়ে কষ্টের ও ভোগান্তির কথা বললেন সরাইল উপজেলারবাসিন্দা গৃহিণী ফাতেমা বেগম।
তার মতো প্রতিদিন সরাইলবাসীকে এমন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।এদিকে বিদ্যুৎ ঘন ঘন আসা-যাওয়ার কারণে বাড়িতে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।গতকাল রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে আসে সকালে।তার মধ্যে বিদ্যুতের ভেলকি বাজিতে দুর্ভোগ এখন চরমে।সরাইলের ব্যবসায়ী আলমগীর বলে,এবার দিন ও রাতে সমান তালেই শুরু হচ্ছে বিদ্যুতের খেলা।
কোথাও এক ঘণ্টায় ৫ থেকে ৮ বার কোথাও আবার ১০ বারও ঘটছে ভেলকিবাজি।দিন-রাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুৎ থাকছে মাত্র ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।ঘন ঘন যাওয়া আসা কবলে পড়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে।গতকাল রাতে বিদ্যুৎ- গেছে আইছে সকালে।এখন তিন হানজালা বিদ্যুৎ নাই।
এদিকে বিদ্যুতের ভিলকিবাজিতে বয়স্কদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে শিশুরা।বিদ্যুতের যাওয়া-আসার এমন খেলা গরমের সময় চলতে থাকলে কী অবস্থা হবে,তা নিয়েই টেনশনে আছেন সরাইল উপজেলাবাসী।১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না।
ভোগান্তির কথা স্বীকার করে সরাইল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সুমন হোসেন দৈনিক কালজয়ী প্রতিনিধিকে বলেন,কাল রাত থেকে মেইল লাইনে সমস্যা হয়েছে।এখন আশুগঞ্জ কাজ করতেছে তাই সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।