কৃষকের স্বপ্নে হানা দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩ দিন ধরে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল দমকা বাতাস। ফলে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন মাঠে আবাদ কৃত সরিষার ফলন অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর কারণে সরিষার হলুদ হাসি যেন ম্লান। এতে শুধু ফসলেরই নয়, কৃষকের মুখের হাসিও বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে গিয়ে জানা গেছে,সরিষার হলুদ হাসিতে এবছর আকৃষ্ট হতে পারেনি কোনো কৃষকই। সরিষার হলুদ হাসিতে দোল খাচ্ছে না কৃষকের স্বপ্ন। কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ‘যাওয়াদ’কে দায়ী করছেন কৃষকরা। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত সরিষা ক্ষেত যেন আজ বিরানভূমি। ঘূর্ণিঝড় ‘যাওয়াদ’ এর কারণে আবহাওয়া অনুকূলে না-থাকায় সরিষা চাষিরা সরিষায় বাম্পার ফলন থেকে বঞ্চিত হবে।
এদিকে উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামের কৃষক নায়েব আলীর সাথে আলাপ হয়। তিনি জানান, সরিষার আবাদ অন্যান্য ফসলের আবাদের চেয়ে লাভজনক। সরিষার আবাদে তেমন কোনো খরচ নেই বললেই চলে। সময়ও কম লাগে, শ্রমও কম দিতে হয়। জমিতে সরিষা লাগানোর পর তেমন একটা সেচ দিতে হয় না। সবকিছু মিলিয়ে একবিঘা জমিতে সরিষা আবাদে খরচ হয় ২ হাজার থেকে-২ হাজার ২শত টাকার মতো।আর একবিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণের মতো সরিষা পাওয়া যায়। কিন্তু এবছর ঘূর্ণিঝড় ‘যাওয়াদ’ এর কারণে সরিষার ফলন ভালো হয়নি। ফলে একবিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করে ৩-৪ হাজার টাকার মতো পাওয়া যেতে পারে।
সরিষা চাষ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘যাওয়াদ’ এর ছোবলে এবছর সরিষার ফলন আশানুরূপ হবে না। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকেরও কম অর্জিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”