ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চোখ ঘোরালেই নজরে পড়ে যত্রতত্র। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিপদজনক এসকল যান। চালকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স কিম্বা গাড়ি চালানোর নূন্যতম অভিজ্ঞতা। যে কারণে হরহামেশাই সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব অবৈধ অটোরিকশা চলাচলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যাত্রীরা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না কেউ। এতে করে সড়কে দিন দিনই এর ভয়াবহতা বাড়ছে বলে দাবী সচেতন মহলের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে। এসকল অটোরিকশাগুলো জটলা করে সড়কের দু’পাশ দখলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। অদক্ষ চালক এবং গাড়িটি অতি হালকা হওয়ায় হরহামেশাই সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, সড়কে ঝরছে তাজা প্রাণ। জানা যায় গত কিছুদিন পূর্বে উপজেলা সদরের কল্পবাস ব্র্যাকের মোড় ও মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া এলাকায় অটোরিকশা চালককের বেপরোয়া স্বভাবের কারণে পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজন মারা যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শত শত ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিকশা উপজেলার সড়কগুলোতে প্রতিদিন চলাচল করছে। এ সকল অটোরিকশাগুলো জটলা করে রাস্তার মোড় ও বিভিন্ন বাজার এলাকায় রাস্তার দু’পাশের জায়গা দখলের কারণে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বিধিনিষেধর তোয়াক্কা না করে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানিসহ আহতের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
ব্যাটারি চালিত এক রিকশা চালক বাদশা মিয়া জানায়, সকাল হলেই রুজিরোজগারের জন্য গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়। এখন আর আগের মতো ভাড়া মিলে না। অটোরিকশা চালকও অনেক বেড়ে গেছে। অটোরিকশা চালানোর কোনো প্রশিক্ষণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অটোরিকশা চালানোর কোনো প্রশিক্ষণ আমার নেই। দেখে দেখে গাড়ি চালানো শিখে গেছি। অটোরিকশা চালানোটা তেমন কঠিন কিছু না।