কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ২০ জন শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, সরকারিভাবে এ ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ না করায় শিশুরা সহজেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোটা ভাইরাস আক্রান্ত শিশুদেরকে নিয়ে অভিভাবকরা চিকিৎসাসেবা নিতে প্রতিদিন ভিড় করছে সরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে আবার অনেকে তাদের সন্তানদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করাচ্ছেন। উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশায় কেউ কেউ পাড়ি জমাচ্ছেন চাঁদপুরের আইসিডিডিআরবিতে। তবে অধিকাংশ রোগিই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে কম সময়েই। চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়রিয়ার প্রধান ঔষধ ওরস্যালাইন। পাতলা পায়খানা জনিত পানিশূন্যতা পূরণে ওরস্যালাইন প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে যদি রোগীর অধিক পরিমাণে বমি হতে থাকে তাহলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
এ ব্যপারে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মবিন ইমতিয়াজ জানান, ‘ শীতকালে রোটাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতি বছরই কম বেশি দেখা দেয়। এ ভাইরাসের কারণে অধিকাংশ শিশু ডায়েরিয়া, বমি ও শ্বাসকষ্টে ভোগে। এরকম পরিস্থিতিতে অবশ্যই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে হবে। যদি রোগী অতিরিক্ত বমি করে তখন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। ‘