কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাজারে সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করার অপরাধে ৫ ডিলারকে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকার কর্তৃক ইউরিয়া সারের নির্ধারিত মূল্য কেজিপ্রতি ১৬ টাকা হলেও তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, এমওপি স্যারের নির্ধারিত মূল্য কেজিপ্রতি ১৫ টাকা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়, টিএসপি স্যারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য ২২ টাকা হলেও কোথাও কোথাও তা ২৬ টাকায়, কোথাও কোথাও ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকার নির্ধারিত সারের মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করায় পাঁচজন সারের ডিলারকে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা। জানা যায়, বেশি মূল্যে সার বিক্রি করায় ধান্যদৌল বাজারের তানভীর এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ সুমনকে ৩০ হাজার টাকা, সাহেবাবাদ বাজারের শিমুল এন্টারপ্রাইজের মালিক জনাব মোঃ নজরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা, সাহেবাবাদ বাজারের শুভ ট্রেডার্সের মালিক সফিকুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা, সাহেবাবাদ বাজারের মামুন ট্রেডার্স এর মালিক মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা ও দুলালপুর বাজারের খাজা এন্টারপ্রাইজের মালিক জনাব আবদুল আলীমকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে থেকে সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল হাসান।