নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর ধরে লেয়ার মুরগীর ময়লা দক্ষিণ তেঁতাভূমি এলাকা হয়ে যে খালটি ঘুঙ্গুর নদীতে মিশেছে ঐ খালটি ফার্মের মালিকরা ব্যবহার করায় খালের পানি দূষিত হচ্ছে। ফার্মের কালো রঙ্গের ময়লার দূষিত পানি গিয়ে মিশছে ৫ কিঃমি পশ্চিম দিকের ঘুঙ্গুর নদীতে৷ কালো রঙ্গের দূষিত ময়লা পানি থেকে খুব খারাপ গন্ধের কারনে বর্তমানে দক্ষিণ তেঁতাভূমি এলাকা হয়ে হরিমঙ্গল, নাইঘর, ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে চলাচলকারী লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে৷
ঐ খালের আশ পাশে বসবাসকারী লোকজন জানায়, খালের ময়লার কারণে বাড়িতে বসবাস কঠিন হয়ে পড়ছে৷ সারা দিন মশা- মাছির যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ঠ৷ ফার্মের মালিকদের বিষয়টি কয়েকবার অবগত করা হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না।
উপজেলার দক্ষিণ তেতাভূমি এলাকার মৃত রেয়াছত আলীর ছেলে মোঃ আবুল বাসার (৭২) ও তার আপন ভাই। একই এলাকার মোঃ ময়নাল হোসেন (৫০), হরিমঙ্গল বাজারের দক্ষিন পাশে আবদুল জব্বারের ছেলে মোঃ শাহিন(৫৫)। হরিমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একই এলাকার জসিম উদ্দিন ডাক্তারের ছেলে নাজমুল হাসান ডালিম এ ৪ জন মিলে।
পরিবেশের কোন তোয়াক্কা না করে এবং আইনের প্রতি কোন শ্রদ্ধা না দেখিয়ে মুরগির ফার্ম গুলো চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ৪ টি লেয়ার মুরগির খামারের ১৫ হাজার মুরগির ময়লা পড়ছে পাশের খালে৷ যার দুর্গন্ধের কারনে ঐ এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ সমস্যায় রয়েছেন৷ এ ব্যাপারে এলাকার সাধারন জনগন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।