কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর পাঁচোড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের আধাঁরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে । এতে আহত হয় ৪ জন এবং আশংকাজনক একজন। এ বিষয়ে বুড়িচং থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন আহত পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল রহিম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাঁচোড়া গ্রামে প্রতিহিংসা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান ডালিম (২১) ও একই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম উজ্জলকে (৮ আগষ্ট ২০২১) রবিবার রাতে মোবাইলে কল দিয়ে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে দলবল হয়ে হামলা চালায়।

জানা যায়,নাজমুল হাসান ডালিম ওই দিন রাতে রাকিবুল ইসলাম উজ্জলের মোবাইলে কল দিয়ে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে। তখন উজ্জল তার ডাকে সাড়া দিয়ে সাথে নিয়ে যায় একই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের ছেলে ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম (২৯), কাদের মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান (২৪), আলিম মাস্টারের ছেলে সায়মন হাসান, নৌসের আলী নৌসু মেম্বারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২)।কেন ডাকলে এ কারণ জানতে চাওয়ার সাথে সাথে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে এলোপাথারী ভাবে মারধর করা শুরু করে এবং ছুরির আঘাতে আহত হয় রাকিবুল ইসলাম উজ্জল। আহত উজ্জলকে বাঁচাতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র, রড,লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয় সাথে থাকা বন্ধুরা। তাদের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম উজ্জল আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে এবং অন্য আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। হামলার সাথে জড়িত ছিলেন ডালিমসহ একই এলাকার চান মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৩), আব্দুল হালিমের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২১), মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাহিদসহ আরো ৭-৮জন।

উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ডালিম ও খায়রুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এতো রাতে তারা কেন আমাদের বাড়িতে আসে? ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আমাদের বাড়িতে হামলা চালাতে আসে।খায়রুল জানান, আমি হামলার ঘটনা শুনে দেখতে গেছিলাম কিন্তু আমি জড়িত ছিলাম না। তবে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটতে দেখিনি। এ অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে বলে থানা পুলিশের সূত্রে জানা যায়।