কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফরিজপুরে আকলিমা আক্তার (২২) নামে অনার্স পরীক্ষার্থীকে ইভটিজিংসহ অশ্লীল ছবি, কথাবার্তা মোবাইলে ধারণ এবং সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৩ জন নারী আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর গ্রামের মোঃ শহিদ উল্লার মেয়ে আকলিমা আক্তারকে দীর্ঘদিন যাবত ইভটিজিংসহ অশ্লীল ছবি, কথাবার্তা মোবাইলে ধারণ, সামাজিক মানহানি করতঃ ফেইসবুক মেসেঞ্জারে প্রচার করেছিল পার্শ্ববতী শমেষপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রিয়াদ (২৫)। রিয়াদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে আকলিমা আক্তার পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
এরই জের ধরে ১২ মার্চ শনিবার সকাল ১০ টায় রিয়াদের শ্বশুরবাড়ির ভাড়াটিয়ার ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে মেহেদী হাসান রিয়াদ গ্যাসের পাইপ দিয়ে আকলিমাকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তার মাথায় ৬ টি সেলাই করতে হয়েছে। আকলিমাকে বাঁচাতে আসলে তার মা শামসুন্নাহার, চাচী হালিমা (৩২), তার বড় বোন ফেরদৌসী (৪০) আহত হন। শনিবার তার অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। শামসুন্নাহার হাতে ও পায়ে আঘাত পায় এবং তার কানের দুটি দুল রিয়াদ নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
আকলিমার বড় বোন ফেরদৌসী বেগমের (৪০) হাত ভেঙ্গে যায়। আর অন্তঃস্বত্তা হালিমাকে তলপেটে লাথি মেরে তার সন্তানকে হত্যা করতে চেয়েছিলো রিয়াদ এমন অভিযোগ হালিমার । ঘটনাস্থল ফরিজপুর রিয়াদের শ্বশুরবাড়ি। বর্তমানে আকলিমা ও ফেরদৌসী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। উল্লেখ্য হালিমা কুমিল্লা সরকারি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য রিয়াদের শ্বশুরবাড়িতে গেলে, দরজা তালা লাগানো দেখা যায়। আইসিটি মামলায় (মামলা নং ৫৫১৯, তাং ৪/৯/২১ইং) রিয়াদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী আছে বলে জানান, দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বুড়িচং এলাকায় না থাকায় তাকে আটক করা যাচ্ছে না। সে পলাতক রয়েছে। এছাড়াও সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা আঃ হাকিম ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।