মামলার বিবরণে জানা যায়, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার কাশেম আলীর মেয়ে মিনু (৩৫) স্বামীসহ বাস করতো সৈয়দপুরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনে। ঘটনাক্রমে চিকিৎসা সূত্রে পরিচয় হয় পল্লী চিকিৎসক শাহিন বাবুর সাথে। ফার্মেসীতে যাতায়াতের ফলে বাবুর প্ররোচনায় উভয়ের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে বাবুর বিয়ের আশ্বাসে ৭ বছর পূর্বে মিনু আগের স্বামীকে তালাক দেয়। এরপর বাবু তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে নিজে বাসা ভাড়া করে দিয়ে রেখে ভরণ পোষণসহ সার্বিক ব্যায় নির্বাহ করে আসছে। বাবু মাঝে মাঝেই ঢাকায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতো। মিনুও সৈয়দপুরে আসলে বাবুর বাড়িতেই অবস্থান করে। এভাবেই চলছিল তাদের সম্পর্ক। বিয়ের জন্য চাপ দিলেই সে আরও অপেক্ষা করতে বলে সময় ক্ষেপন করে আসছে।
এমতাবস্থায় হঠাৎ গত ২৮ অক্টোবর পারিবারিক ভাবে বাড়ির পাশেই বিয়ে করে বাবু। এই খবর পেয়ে ৩০ নভেম্বর মিনু সৈয়দপুরে এসে দেখে শহরের আধুনিক একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছে বাবুর বউভাত। এতে উপস্থিত হয়ে বাবুকে ডেকে নিয়ে মিনু তার সাথে প্রতারণার জবাব চাইলে বাবু বলে বিয়ে করলেও তোমার সাথে আগের মতই সম্পর্ক থাকবে। এতে বাধ্য হয়ে মিনু সৈয়দপুর থানায় গিয়ে প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৮, তারিখ ৩০/১০/২০২১ ইং। এই মামলার প্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে এস আই তারেক মাহমুদ আসামীকে তার চেম্বার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক শাহীন আলী বাবু জানান, মহিলা আমার রুগী। সে স্বামী পরিত্যক্ত ও দরিদ্র অসহায় হওয়ায় প্রায়ই চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে আর্থিক সহযোগীতা করতাম। ৭ বছর যাবত মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করা ছাড়া অন্য কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল হাসনাত জানান, মহিলার সাথে দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক আটক পল্লী চিকিৎসকের। বাদীর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামী আটক করে বিকালে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।