কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের বলেছেন,১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ত এবং পরবর্তী বাংলাদেশের উপর এর ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে আলোচন করেন। তিনি বলেন “বাঙ্গালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর ডাকে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জয় বাংলার মূলমন্ত্র সেদিন মুক্তিকামি বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সুতোয় গাঁথা। আজকের এই দিনে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, যার যার কর্তব্য পালন করার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান।
কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ঘাতকরা চেয়েছিল ইতিহাসের চাকাকে পিছনে ঘুরাতে।স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়।কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। বরং তারাই নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে।মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট ) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।শোকের মাস আগস্ট জুড়ে যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা। কর্মসূচিরে মধ্যে ছিলো ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,কুমিল্লা নগর উদ্যান বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ,আলোচনা সভা ও বাদ যোহর শিক্ষাবোর্ড জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া, কুমিল্লা সদরের দুটি এতিম খানায় এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভা শুরুর আগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কুমিল্লা নগর উদ্যান অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শিক্ষাবোর্ড প্রাঙ্গনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পূস্পার্ঘ্য অর্পন করা হয়।এরপর সকাল দশটায় কুমিল্লা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং উপ-সচিব (প্রশাসন) এ,কে,এম, সাহাব উদ্দিন এর সঞ্চালনায় বোর্ডের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ,বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.মোঃ আসাদুজ্জামান, বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো.আজহারুল ইসলাম,উপ-পরিচালক (হি. নি.) মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) ড.মোঃ শফিকুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানন,উপ- কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী উপ-সচিব (একাডেমিক) মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া,সহকারী পোগ্রামার ও(একান্ত সচিব) সুমন রায়,কর্মচারী সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীনসহ বোর্ডের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী।