কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার চরে ফুটবল খেলতে গিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে কলেজ ছাত্র ইউসুফ আলী (১৯) ও সামিরুল ইসলাম (১৮) এর সলিল সমাধি হয়েছে। পদ্মায় ডুবে মৃত্যু হওয়া দুই বন্ধুকে পাশাপাশি কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় একই সাথে দুই বন্ধুর নামাজে জানাযা শেষে ফিলিপনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়। একই গ্রামের কলেজ ছাত্র দুই বন্ধু পদ্মা নদীতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষ।
এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলতে গিয়ে ইউসুফ আলী ও সামিরুল ইসলাম পদ্মায় ডুবে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার ৬ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা ডুবুরি দল। নিহত ইউসুফ আলী ফিলিপনগর মরিচা (পিএম) ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও ফিলিপনগর কবিরাজপাড়া গ্রামের বাবুল কবিরাজ এবং সামিরুল ইসলাম একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও একই গ্রামের কুমির উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, দুইবন্ধু ইউসুফ আলী ও সামিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বন্ধু পদ্মার চরে ফুটবল খেলছিল। এসময় ফুটবল পদ্মা নদীতে পড়লে ইউসুফ ও সামিরুল নদীতে নেমে ফুটবল তুলতে গিয়ে তারা পদ্মার প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে ভেড়ামারা ফয়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে সন্ধান না পেলে বিকেলে খুলনা থেকে ডুবুরি দল এসে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে মাত্র ৭-৮ মিনিটের ব্যবধানে একইস্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও নিখোঁজ ছাত্রদের প্রতিবেশী ফজলুল হক কবিরাজ জানান, একই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া দু’জন ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। নিহতদের আজ সকালে দাফন করা হয়েছে।