আজ সকালবেলা বন্ধু কায়সার আলী চৌধুরী মারফত যখন জানতে পারলাম ক্রিকেটের প্রিয় আকবর ভাই আর নেই ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ) , তখন মনটা খুবই বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল । একজন ভালো ক্রিকেটার, মৃদুভাষী এবং নিরহংকার ব্যক্তি হিসেবে জানতাম প্রিয় আকবর ভাই কে । আজ উনার আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ শুনে মানসপটে আকবর ভাইকে নিয়ে অনেক স্মৃতি ভেসে উঠলো ।
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি- মার্চ মাসে বহদ্দারহাট এর খররম পাড়া মাঠে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পান্ডা আইসক্রিম কোম্পানির সম্মানিত চেয়ারম্যান ও ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড এর সাবেক কমিশনার মরহুম জনাব মোহাম্মদ নাজের সাহেবের নামে প্রবর্তিত মরহুম নাজের স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলায় আমাদের টিমের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন সে সময়ের চট্টগ্রামের আলোচিত ক্রিকেটের আকবর ভাই, রিয়াসাত ভাই এবং খুররম ভাই । নামি-দামি ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম অবস্থায় আমরা ভরকে গেলেও বেশ ভালই ফাইট করেছিলাম আকবর ভাইদের টিমের বিপক্ষে । মারদাঙ্গা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত আকবর ভাইকে নিয়ে আমাদের ভয় বেশি থাকলেও ব্যক্তিগত ১১ রান করে আকবর ভাই সে সময়ের চট্টগ্রামের আরেক সাড়া জাগানো পেসার বন্ধু রাশেদ এর বলে আমার হাতে কট বিহাইন্ড হন । তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই সেমিফাইনাল খেলায় আকবর ভাইদের টিমের কাছে আমরা মাত্র ২ রানে হেরে যাই শেষ ওভারে । খুব কাছে এসেও তারকা সমৃদ্ধ আকবার ভাইদের টিমকে হারাতে না পারার বেদনায় আমরা সবাই মুশরে পড়ি খেলা শেষে ।
আকবর ভাই আমাকে এবং আমাদের টিমের সকলকে জড়িয়ে ধরে তখন সান্তনা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কাজীর দেউড়ির ঐতিহ্যবাহী খোয়াজা হোটেল এবং আউটার স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে অসংখ্যবার দেখা হয়েছিল উনার সাথে । যখনই দেখা হতো তখনই হাসিমুখে কথা বলতেন এবং সেই সেমিফাইনাল খেলা স্মৃতিচারণে মেতে উঠতাম আমরা দুজনে । একজন ভালো ক্রিকেটার কিংবা বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের ভাই হিসেবে কখনই অহংকার বা ভাব দেখাতেন না কারো সাথেই । সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ যেন নিরহংকারী আকবর ভাইকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন ।
লেখক : তানভীর আহমেদ