পুথিগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন! এ ভাবসম্প্রসারনটি আমরা অনেকেই পরেছি। তবে এ ভাবসম্প্রসারনের বাস্তবতার মুখোমুখি আমরা অনেকেই খুব কম হয়েছি। এমন নৈতিক শিক্ষার অনেকটা অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ শাকিলের মধ্যে।
তার কথাবার্তা ও আচরনে মনে হয় নৈতিক শিক্ষার বিন্দু মাত্রও শেখাতে পারেনি তার পরিবার। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে চাখার ইউনিয়নের ছোট চাউলাকাঠি গ্রামের সামিমের স্ত্রী প্রসূতী মরিয়মকে তার স্বজনরা ২৬ নভেম্বর তার (মরিয়ম) প্রসব বেদণা উঠলে বানারীপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত ডাঃ মরিয়মের স্বজনদের পার্শ্ববর্তী একটি প্যাথলজিতে আলট্রাস্নো করাতে বলেন। কিন্তু মরিয়মের স্বজনরা আর্থিক সংকটের জন্য তা করাতে ব্যার্থ হন। এরপরেই মরিয়ম স্বাভাবিক ভাবে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনা শোনার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় ডাঃ শাকিল।
ওই ডাক্তার চরম ভাবে বাজে ব্যাবহার শুরু করেন মরিয়মের স্বজনদের সাথে। খারাপ ব্যাবহার করেই তিনি ক্ষান্ত হননি নিয়ে যাওয়া হয় মরিয়মের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সকল কাগজ পত্র। এ বিষয়ে প্রসূতীর স্বজনদের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডাক্তার শাকিলের কক্ষে গেলে পুনঃরায় তাদের সাথে তিনি (ডাঃ শাকিল) খারাপ আচরন করেন।
এসময় শাকিলের পাশের চেয়ারে থাকা তার স্ত্রী একই হাসপাতালের ডাঃ তুষি মরিয়মের স্বজনদের হাসপাতাল ত্যাগের জন্য বলেন তা না হলে পুলিশে দেয়ার ভয়ভীতি দেখান। এবিষয়ে পঃপঃ কর্মকর্তা মোঃ কবির হাসান জানান, ঘটনাটি তাদের অভ্যন্তরীন ব্যাপার তবে বিষয়টির সাথে কারা জড়িত সে বিষয়ে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।