প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে গেছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান স্বপন।রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন প্রার্থনা করেছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র-১ হাফিজুর রহমান গত ৫ জুন শহরের আকুরটাকুরপাড়ায় একটি জমি পরিমাপকে কেন্দ্র করে ওই জমির মালিকের জামাতার সঙ্গে কথা বলেন।কথা বলার একপর্যায়ে তিনি তাকে বলেন আমি প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকেও মানি না।এছাড়া তিনি নানা অশ্লীল বক্তব্য দেন।
তার ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।এ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান বাদী হয়ে স্বপনের বিরুদ্ধে ৯ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
এছাড়াও মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শহরের আকুরটাকুরপাড়ার প্রয়াত আশরাফ চৌধুরীর জামাতা মফিজুর রহমান টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।মামলা হওয়ার পর হাফিজুর আত্মগোপনে চলে যান।পরে উচ্চ আদালতে গিয়ে ৮ সপ্তাহের জামিন লাভ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেন।পরে তার ৮ সপ্তাহের জামিন বাতিল করে এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ দৈনিক কালজয়ীকে জানায়,হাফিজুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক সাউদ হাসান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।পরে তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।প্রসঙ্গত,এ মামলা দায়েরের পর পৌর পরিষদের সভায় তাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।এছাড়াও তাকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
হাফিজুর প্রথমে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলো বলে জানা গেছে।২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদ লাভ করেন।পরে শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হন।তিনি টানা চারবার টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।