প্রধান দুই স্বাক্ষীও বলছেন ষড়যন্ত্র, শরণখোলায় ছাত্রলীগ নেতাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের ঘটনা সাজানো !
শরণখোলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মিরাজ (৩০) কে তিন পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার মামলার প্রধান দুই স্বাক্ষী এখন বলছেন ঘটনাটি ষড়যন্ত্র। তাদেরকে পুলিশ জোর করে স্বাক্ষী বানিয়েছে। অপরদিকে এঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সবাই বলছে, স্থানীয় রাজনৈতির প্রতিহিংসার শিকার মিরাজ। যাকে কেউ কখনো সিগারেট পর্যন্ত খেতে দেখেননি, সেই ছেলে হঠাৎ করে ইয়াবার মামলায় ফেঁসে যাবে এটা কল্পনার অতীত। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
এরাকাবাসী জানান, উপজেলার তাফালবাড়ী বাজারের আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম মিরাজ দীর্ঘদিন এলাকায় চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দোভাষী হিসেবে কাজ করেন। গত ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে তাফালবাড়ী বাজারসংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তার কাছ থেকে তিন পিচ ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হয়। ওই রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাতুনে জান্নাত তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
সাউথখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মিরাজের বড় ভাই ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, মিরাজকে তার কিছু পরিচিত লোক দিয়ে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তিন পিচ ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। তাকে পূর্ব পরিকল্পিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। দলের একটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ আমাদের পরিবারের মানসম্মান নষ্ট করতে এই নোংরা খেলায় নেমেছ। মামলার দুই প্রধান স্বাক্ষী সালমা বেগম ও আফান ফরাজী বলেন, মিরাজের কাছ থেকে আমরা কোনো ইয়াবা উদ্ধার করতে দেখিনি। পুলিশ আমাদের জোর করে স্বাক্ষী বানিয়েছে। মিরাজ একটি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে যারা ডেকে এনেছে তারাই কৌশল করে ফাঁসিয়েছে। তাফালবাড়ী বাজার কমিটির সভাপতি শামসুল আলম রিপন বলেন, মিরাজ আমাদের চোখের সামনেই বড় হয়েছে। আমরা কখনো খারাপ কিছু দেখিনি। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, মিরাজকে ইয়াবা তো দূরের কথা, তাকে কোনোদিন বিড়ি-সিগারেটও খেতে দেখিনি। সাউথখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু রাজ্জাক আকন বলেন, মিরাজ একজন ভালো ছেলে। তার বিরুদ্ধে নেশার অভিযোগ এটা বিশ্বাসযোগ্য না। এমন ঘটনার নিন্দা জানাই। শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মিরাজকে আটকের পর তার কাছ থেকে তিন পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।