বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের ৩ যুককসহ ৬ জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। ২ জুন বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে একটার দিকে মুন্সীগঞ্জের নিমতলি-হাঁসারা হাইওয়েতে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ছয়জনের মধ্যে চার বন্ধু হলেন- চাঁদপুরের ৩ যুবক হলেন, সদর উপজেলার ইচলি এলাকার সামাদ গাজী, আহাদ, সিফাত। নিহত অপর ৩ জনের মধ্যে ১ জন সামাদ-আহাদদের বন্ধু নাঈম। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার। এছাড়া বাকি ২ জনের একজন অটোরিকশার চালক এবং অন্যজন আরোহী ছিলেন। এই দু’জনের নাম পরিচায় জানা যায়নি। নিহত সামাদের চাচাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেখার জন্য তিন বন্ধু সামাদ গাজী, আহাদ, সিফাত চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যান। সেখান থেকে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর এলাকায় তাঁদের অপর বন্ধু নাঈমের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের বাসায় থেকে শুক্রবার সকালে পদ্মা সেতু দেখার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। রুবেল আরো জানান, শুক্রবার রাতে তারা ৪ বন্ধু অটোরিকশায় করে মাওয়া যাচ্ছিলেন। এসময় নিমতলি-হাঁসারা হাইওয়েতে একটি কাভার্ডভ্যান হঠাৎ গতি থামালে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পেছন দিক থেকে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশায় থাকা পাঁচ আরোহী এবং চালক ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। নিহত সামাদ গাজীর বন্ধু রাব্বি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল। তাঁরা আমাকে জিজ্ঞাস করেছিল যে, আমি যাব কি না। প্রথমে যাওয়ার কথা বললেও, শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় যেতে পারিনি। এর মধ্যে তাঁদের সঙ্গে কয়েক বার আমার ইমোতে কথা হয়েছে। পরে গতকাল রাতে এ দুর্ঘটনার খবর পাই।’ এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে, এখনই খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’