চাঁদপুর শাহরাস্তি উপজেলার ঠাকুরবাজারে সিলাগালা করে দেয়া সেই নকল বনফুল লাচ্ছা সেমাই কারখানার মালিককে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৬ এপ্রিল রোববার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমজাদ হোসেন তাকে এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এতে নকল এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর অপরাধে পাটওয়ারী ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের (কারখানার মালিক) মো. আবুল খায়ের পাটোয়ারীকে ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
জানা যায়, চাঁদপুর শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরবাজারের মহামায়া গাছ সংলগ্ন স্থানে গড়ে উঠেছে দেশের সুনামধন্য বনফুল লাচ্ছা সেমাইয়ের একটি নকল কারখানা। যেখানে অভিনব কায়দায় দেশের নামকরা ব্যান্ডের বনফুল লাচ্ছা সেমাইয়ের মোড়ক, লোগো নকল করে বর্নফুল নামে সেমাই উৎপাদন করা হতো। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদন করা এ সেমাই কারখানার বিএসটিআইয়ের কোন অনুমোদনও ছিলো না।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালনো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে সেমাই কারখানার মালিক ও পাটওয়ারী ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক কারখানায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। তবে সেখানে দেখা যায়, বনফুল ব্যান্ডের সেমাইর প্যাকেটে বর্নফুল নাম দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত খোলা ও মানহীন সেমাই প্যাকেটজাত করা হচ্ছে।
এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমজাদ হোসেন নকল বর্নফুল সেমাই কারখানাটি সিলগালা করে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. দেলোয়ার হোসেনের জিম্মায় দিয়ে আসেন। একই সাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নকল সেমাই তৈরীর কারখানাটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
রোববার সিলগালা করা সেই সেমাই কারখানার মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।