দন্ত চিকিৎসায় বিভিন্ন ডিগ্রির নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ বছর থেকে রোগীদের সাথে প্রতারনাকারী ৬ জন ভূয়া ডেন্টিস্টকে জেল-জরিমানা করেছে প্রশাসন।বৃহস্পতিবার (১৯ আগষ্ট) দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে চারজনের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ আরো তিনজনের জেল দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহারুল ইসলাম।অভিযুক্তরা হলেন-শহরের কালিতলা মহল্লার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে ডেন্টাল কেয়ার হোমের তৌফিকুল ইসলাম তুহিন (৪২), কাঁচাবাজার এলাকার মৃত মধুসদন সাহার ছেলে শাহ ডেন্টাল কেয়ারের কৃষ্ণ কমল সাহা (৫৮)।
এছাড়া খাস নওগাঁ মহল্লার বাসীন্দা মৃত ছহির উদ্দিনের ছেলে জান্নাত ডেন্টাল কেয়ারের শহীদুল ইসলাম (৬১) ও মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে ওরাল ডেন্টাল কেয়ারের জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)। লাটাপাড়া মহল্লার বাসীন্দা রশিধর ডেন্টাল কেয়ারের আশরাফুল ইসলাম (৪০) ও সাজ্জাদ হোসেন (৪১)।
জানা গেছে,দীর্ঘ বছর ধরে প্রতারনার মাধ্যমে দাঁতের চিকিৎসক হিসেবে বিভিন্ন ডিগ্রীর নাম ব্যবহার করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন তারা।একাধিকবার দাঁতের ভূল চিকিৎসা দেওয়ায় অনেক সময় সুস্থ হতেন না রোগীরা।ডেন্টিস্ট এর সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখা এবং সেখানে লেখা ভূয়া ডিগ্রি দেখে রোগীরা না বুঝে এমন ভূয়া ডেন্টিস্টদের কাছে আসা যাওয়া করতো।
এভাবে রোগীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হতো।এমন ছয় ভূয়া ডেন্টিস্টের সন্ধ্যান পায় র্যাব-৫।পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানালে বিষয়টি আমলে নেয়া হয় এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ভূয়া দাঁতের চিকিৎসালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার তৌকির আহমেদ ও র্যাবের সদস্যরা এবং সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশীষ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহারুল ইসলাম বলেন,বিডিএস ডিগ্রী নেই,এইচএসসি পাস করেই ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে দীর্ঘ বছর ধরে তারা দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল।
শুধু তাই নয়,অন্য ডেন্টিস্টদের বিডিএস সনদ রেজিস্ট্রেশন চুরি করে এতদিন তা নিজের বলে চালিয়ে আসছিল।মানুষের কাছে নিজেকে বিশেষজ্ঞ দন্ত চিকিৎসক বলে প্রতারণা করে আসছিলেন তারা।এমনই কয়েকজন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন,তৌফিকুল ইসলাম তুহিন এর ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দুই মাসের জেল,কৃষ্ণ কমল সাহা ও জাহাঙ্গীর আলমের ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা,শহীদুল ইসলামের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আশরাফুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন এর দুই মাস ১৫ দিন করে জেল দেওয়া হয়েছে।