দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনকে আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় পর উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।একই দিন থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন খালে জেলেদের মাছ শিকারসহ বনজ সম্পদ আহরণের পাশ পারমিটও দেয়া হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান,মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর এপ্রিল মাস থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিলো।বন বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় সুন্দরবনের করমজল,কটকা,কচিখালী,হারবাড়িয়া,হিরেনপয়েন্ট,দুবলারচর,নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ,ট্যুরবোট,ট্রলার ও বিভিন্ন নৌযানে চড়ে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা।তবে একটি লঞ্চে ৭৫জনের বেশি যাতায়াত করতে পারবেন।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন খুলনার সভাপতি এম. নাজমুল আযম জানান,খুলনা বিভাগে শতাধিক ট্যুর অপারেটর রয়েছে।এরমধ্যে ৬৩টি রয়েছে রেজিষ্ট্রিকৃত।পর্যটনের সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় দেড় সহস্রাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী।সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পর্যটকদের বিনোদনের পাশাপাশি সরকার রাজস্ব খাতের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি।