নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশু তিন ভাই-বোনসহ চারজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে দেখতে গিয়ে শিশুদের নানাও হার্ট এটাকে মারা গেছেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে নীলফামারী সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ওই ইউনিয়নের মনসাপাড়া গ্রামের বউবাজার নামক স্থানের রেল ক্রসিং সংলগ্ন সেতুর পাশে নলছাপাড়ার রিকশাচালক রেজোয়ান আলীর তিন শিশু সন্তান লিমা আকতার (৮), রিমা খাতুন (১২) ও মমিনুর রহমান (৬) এবং প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও রেলসেতুর পাহারাদার শামীম হোসেন (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেললাইনের পাশেই নিহতদের বাড়ি। সেখানে রেল সেতুর সংস্কার কাজ চলছিল। শিশুরা সেতুর ওপর বসে সেতু সংস্কারের কাজ দেখার পাশাপাশি খেলা করছিল। ওই সময় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী খুলনা মেইল ট্রেন সেতুর ওপরে আসে। এমতাবস্থায় সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শামীম হোসেন শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে তিনিসহ কাটা পড়ে তিন শিশু।
এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন এবং হাসপাতালে নেয়ার অন্য দুইজন মারা যায়। পরে নিহত শিশুদের দেখতে এসে তাদের নানা হৃদ আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরই লোকজন রেললাইন অবরোধ করে। এতে ট্রেনটি তাৎক্ষণিক থামানো হয়। যা এখনও সেখানেই অবস্থান করছে।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি উত্তেজিত জনতার ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করছেন। ট্রেনের যাত্রী, চালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ রেল কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে যাচ্ছেন এবং হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় সমবেদনায় মূহ্যমান হয়ে ফিরছেন।