টাঙ্গাইলের সখীপুরে বানিয়ারসিট বাজার হতে দেবরাজ পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণের ১০ দিনের মাথায় হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বানিয়ারসিট বাজার থেকে দেবরাজ পর্যন্ত ওই ১ কিলোমিটার রাস্তার পাকাকরণে (প্রাইম ডিজাইন এন্ড ডেভোলপমেন্ট) নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।আর তাদের এ দায়সারা কাজের জন্য এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে,২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আইআরআইডিপি প্রকল্পে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার বানিয়ারসিট বাজার থেকে দেবরাজ রাস্তার এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ পায় প্রাইম ডিজাইন এন্ড ডেভোলপমেন্ট নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।গত ১০দিন আগে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি শেষ করে।নিন্মমাণের সামগ্রী দিয়ে পাকাকরণের সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে স্থানীয়রা বারবার নিষেধ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
মঙ্গলবার স্থানীয়দের কার্পেটিং ওঠানোর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।কালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মন্ডল বলেন,গত ১০দিন আগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি সমাপ্তি করে।পাকাকরণের কাজটি অত্যান্ত নিম্মমাণের হওয়ায় হাত দিয়েই কার্পেটিং ওঠানো যাচ্ছে।এরকম প্রতারক ঠিকাদারের মাধ্যমে আর কোথাও যেন কাজ দেওয়া না হয় সে দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ওই সড়কে চলাচলকারী নাম প্রকাশকের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি দৈনিক কালজয়ীকে বলেন,১কিলোমিটার রাস্তার ৫০ মিটার রেখেই কাজটি শেষ করা হয়েছে।সংস্কারের ১০ দিন যেতে না যেতেই কার্পেটিং ওঠে যাচ্ছে।কাজের সময় অনেকে বাধা দিলেও ঠিকাদার শোনেননি।শুধু ওনি নয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায় সবাই এই অভিযোগ করেছেন এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে শাস্তি ও রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের দাবি জানান তারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন,নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজটি করা হয়নি।কার্পেটিংয়ের কাজ করার পর শক্ত হতে কিছু সময় লাগে।কয়েকজন লোক বিভিন্ন জায়গায় কাঠ দিয়ে নতুন সড়কের কার্পেটিং উঠিয়ে ফেলেছেন।সম্প্রতি কাজটি শেষ করেছি।যেসব জায়গায় সমস্যা হয়েছে,সেসব জায়গায় ঠিক করে দেওয়া হবে।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী এসএম হাসান ইবনে বলেন,নিম্নমাণের কাজের বিষয়টি স্থানীয়রা আমাদের জানাতে পারতেন।কিন্তু তারা ধারালো কিছু দিয়ে কার্পেটিং উঠিয়ে ফেলেছেন।এটি তারা ঠিক করেননি।সড়কের কাজ নিম্নমানের হয়নি।নিম্নমানের অভিযোগ শোনার পরপরই কর্তৃপক্ষ পাথর ও বিটুমিনসহ অন্যান্য জিনিস পাঠিয়েছেন।যেসব জায়গায় সমস্যা আছে সেসব জায়গায় নতুন করে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হচ্ছে।