ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দীনি-৩ নামের একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে সুকানি কামরুল ইসলাম নিহত ও ৭ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণে জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকছে। যেকোনো সময় জাহাজটি ডুবে যেতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে পাম্প মেশিন মেরামত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে ওই রুমে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এতে জাহাজের ১৩ স্টাফের মধ্যে ৮ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে সুকানি কামরুল ইসলাম (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত কামরুলের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলায়।
ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতেদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এবং পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জাহাজে বহনকৃত তেল দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মী আব্দুস সালাম জানান, সাগর নন্দীনি-৩ জাহাজটি প্রায় ১৫ লাখ লিটার পেট্রল এবং ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির সামনে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে। গত বুধবার পদ্মা ডিপোতে পেট্রল খালাস করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে জাহাজটি সুগন্ধা নদীর দক্ষিণপারে নোঙর করে রাখা হয়। আজ ডিজেল খালাস করার কথা ছিল। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে জাহাজটির ইঞ্জিন রুমের তলা ফেটে আস্তে আস্তে জাহাজটি ডুবে যাচ্ছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণে জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকছে। জাহাজটি যাতে পানিতে ডুবে না যায়, তার জন্য চেষ্টা চলছে। ভেতরে থাকা প্রায় ৯ লাখ লিটার ডিজেল অন্য একটি জাহাজে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।