জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামে সাড়ে তিন বছর আগে বন্যার সময় সাতপোয়া-বলারদিয়ার সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যায়।একই সঙ্গে দিয়ারকৃষ্ণাই সেতুটিও দেবে যায়।এরপর আর ওই সড়ক বা সেতু,কোনোটিই সংস্কার করা হয়নি।ফলে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের আট গ্রামের মানুষ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,পৌর এলাকার সাতপোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বালিয়া সেতু পর্যন্ত সড়কের দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামের চাকীবাড়ী খালের ওপর ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়।২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রায় ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে।
২০১৭ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়।কিন্তু এক বছর পরই বন্যায় সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতুটিও ঢেবে যায়।মাইজবাড়ি,সাতপোয়া,খাগুড়িয়া,দিয়ারকৃষ্ণাই,বালিয়া,বলারদিয়ার ধোপাদহ ও চরপাড়া এই আটটি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন।কিন্তু সেতুটি ঢেবে যাওয়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তাই এখন এই সড়ক ব্যবহার করতে হলে হেঁটে যাতায়াত ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামের কৃষক চান মিয়া (৪৫) বলেন,এই ব্রিজ তো আর ব্যবহার করা যায় না।জমিতে আবাদ কইরে ফসল বাড়িতে নিতে খুব কষ্ট হয়।কবে যে আমগো কষ্ট দূর হবো।এদিকে বলারদিয়ার গ্রামের ওয়াজেদ আলী (৫৮) জানান,সাড়ে তিন বছর ধরে সেতু আর সড়কটি এভাবে পড়ে আছে।সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।