কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবল সংকট নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।কম জনবলের কারণে প্রতিদিনকার সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,উপজেলার প্রায় ২ লাখ লোকের ভরসাস্থল এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সময়ে প্রয়াত মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু উদ্বোধন করেন।জনবল সংকটের কারণে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে,৫০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালাতে যে লোকবল প্রয়োজন তা দেয়া হয়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে।জানা গেছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালাতে যে জনবল প্রয়োজন তা নেই এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।নিয়মানুযায়ী ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী থাকার কথা ৩০ জন কিন্তু আছে মাত্র ১২ জন।
স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২টি পদই শূন্য অবস্থায় আছে।উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৯জন সেখানে বর্তমানে সেবা দিচ্ছে ৫ জন।নার্স ১৮ জনের বিপরীতে আছে ১১ জন।ডাক্তার ১১ জনের বিপরীতে আছে ১০ জন,তার মধ্যে ৫ জনই (কোভিড-১৯) চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে।
৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীর সবকটি পদই শূন্য অবস্থায় আছে।এ্যাম্বুলেন্স আছে কিন্তু ড্রাইভার নেই।স্টোর কিপার,ফার্মাসিস্ট, অন্ত: ও বহি:বিভাগে এমএলএসএস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী সংকট।ল্যাবরেটরী টেকনিশিয়ান মাত্র একজন কাজ করছে।এছাড়াও অফিস সহকারী,ক্যাশিয়ার,পরিসংখ্যানবিদ,কম্পিউটার অপারেটর পদও শুন্য রয়েছে।হাসপাতালের এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন বিকল অবস্থায় পড়ে আছে।ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
এব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বিষয়গুলো অবহিতকরণ করা হয়েছে।তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুতই জনবল সংকট দূর হবে।আমরা আমাদের সীমিত জনবল নিয়েই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে করে যাচ্ছি।