কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস-২২ উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষ্যে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ২৫শে মার্চের আজকের দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে পূর্ব বাংলার মানুষদের হত্যার বিষয়ে প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন উপস্থিত বক্তারা। একাত্তরের পঁচিশে মার্চের গভীর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের নামে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় মেতে উঠে। সেদিন রাতে অতর্কিত হামলা করে পাক হায়েনারা হাজার হাজার নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করে। পূর্ব বাংলার বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে বহু মানুষকে তারা জীবন্ত পু্ড়িয়ে মারে।
নিষ্পাপ শিশুরাও সেদিন দগ্ধ হয় তাদের প্রজ্বলিত অনলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পূ্র্ব বাংলার ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়। ইজ্জত হারায় হাজার হাজার মা-বোন। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পূর্ব বাংলার সকল শ্রেণীপেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ন’মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা পাই আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জি এম মীর হোসেন মীরু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।