কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে ফ্লোরা কনফেকশনেরির মালিক সায়মন চৌধুরী। যার সিআর নং ৭৫৩/২১ । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। মামলা সূত্রে জানা যায় ,কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার দিন ঝাউতলা এলাকার মাসুম চৌধুরী ফ্লোরা কনেফেকশনারি নামীয় একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন দরে পরিচালনা করে আসছে।
কিছু দিন ধরে একটি হত্যা মামলার আসামি ঝাউতলা এলাকা চাঁদাবাজি মামলার আসমী মৃত মদন চন্দ্র দাসের ছেলে বিকাশ দাস, হত্য মামলার আসামি রতন ঘোষ এর ছেলে রুবেল ঘোষ সহ একই এলাকার, রতন ঘোষ এর ছেলের সুবেল ঘোষসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন আসামি গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী সায়মন চৌধুরী কে একা পেয়ে তার নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকারা করলে আসামীরা পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে পুনরায় আসবে বলে চলে যায়।
পরবর্তীতে গত ১২ অক্টোবর আসামীগণ পুনরায় তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করায়, আসামিগন বাদীকে কিল ঘুষি মারে এবং বাদীকে দোকানের ড্রয়ার হতে বাদীর মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের হিসার নাম্বার এর বিপরীতে ইস্যুকৃত চেক বইয়ের ৮/১০ টি পাতা জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় । বাদী সায়মন চৌধুরী চিৎকার করলে বাঁদিকে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। উল্লেখ্য যে বাদী ইতোপূর্বে তার অলিখিত চেক ও স্ট্যাম্প সমুহ আসামীদের কবল হতে উদ্ধার করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
যার মামলা নাম্বার ১৮০/২০২১। এ বিষয়ে মামলার বাদী সায়মন চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় আমার দোকানে বিভিন্ন পণ্য টাকা না দিয়ে খেত, এখন চাদা না দিলে নাকি আমাকে ব্যাবসা করতে দেবে না। তাদের বিরুদ্ধে আগেও হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। আমার স্যাম এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইটটিও তাদের দখলে রেখেছে।.আমি শীঘ্রই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিব। আমি প্রশাসনের কাছে আসামীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তক মূলক শাস্তি দাবি করছি। এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লা উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক জানান, আদালতের আদেশে মামলাটি তদন্ত করছি ,শীঘ্রই আদালতে তদন্ত প্রদিবেদন দাখিল করবো।