চাঁদপুরে যৌতুকের দাবিতে শশুর শাশুড়ি ও ননদের অমানবিক নির্যাতনে,খুকি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন।৩১ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা বারো টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদী ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী গ্রামের গাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।আহত খুকি বেগম একই এলাকার খোকন পাঠানের মেয়ে।
হাসপাতালের বেডে আহত খুকি বেগম সাংবাদিকদের জানান,প্রায় ৮ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী এলাকার ইব্রাহিম গাজীর ছেলে লোকমান গাজীর সাথে তার বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকেই তার শাশুড়ি রোকেয়া বেগম ও ননদ ফারজানা এবং শশুর ইব্রাহিম গাজী যৌতুকের জন্য প্রায় সময় তার সাথে ঝগড়াঝাটি এবং মারধর করতেন।
সে জানায় ঘটনার দিন সকালে তার ননদ ফারজানা বেগম শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে এসে একইভাবে যৌতুকের কথা উঠে ঝগড়াঝাঁটি শুরু করেন।একপর্যায়ে খুকি বেগম তাদের কথার প্রতি উত্তর দিলে তারা সবাই মিলে তাকে ঘরে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন।এমনকি তার চুলের মুঠি ধরে তাকে কিল,লাথি ঘুঁষি সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।
সে এবং তার ৪ বছরের শিশু সন্তান জানায়,একপর্যায়ে তার শাশুড়ি রোকেয়া বেগম বটি দা নিয়ে তাকে গলায় আঘাত করতে গেলে তার ডাক চিৎকারে মানুষজন এগিয়ে আসলে তিনি তা ফেলে দেন।তাদের এমন অমানবিক নির্যাতনে গৃহবধূ খুকি বেগম গুরুতর আহত হয়ে পড়লে অন্যান্য স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পিতা মাতা এবং বোনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ জানালেন খুকি বেগমের স্বামী লোকমান গাজী।সে জানায় বিয়ের পর থেকেই তাঁর বাবা-মা তাকে কোন ভাবে সহ্য করতে পারেননি।শ্বশুর বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য প্রায় সময় তাদের সাথে ঝগড়াঝাটি করে অশান্তি করতো।এমনকি আমার বাবা-মা আমার অন্য ২ ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে একই আচরণ করতো।
ইব্রাহিম গাজীর অন্য দুই পুত্র বধু রুবি আক্তার ও মিম আক্তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি এবং নানা অশান্তির কথা জানিয়ে একই অভিযোগ করেন।এই বিষয়ে অভিযুক্ত খুকি বেগমের শশুর ইব্রাহিম গাজীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা তাকে কোনো নির্যাতন বা মারধর করিনি।তার সাথে আমাদের হাতাহাতি হয়েছে।এ বিষয়ে আহত খুকি বেগমের পিতা খোকন পাঠান বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।