চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মাছ ঘাটের পাশে রকেট ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ৮ জুন বুধবার সকালে রেলওয়ের একটি পরিত্যক্ত অবৈধ ককসিটের গোডাউনে এই আগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও ফায়ারসার্ভিসের দমকলবাহিনীর প্রচেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে অল্পের জন্যে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষেয় পায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা জানান, রকেট ঘাটের পাশে রেলের পরিত্যক্ত একটি ঘরকে গোডাউন বানিয়ে অবৈধভাবে ইলিশ মাছ সরবরাহের ককসিট রেখে ব্যবসা করত স্থানীয় আলি হোসেন গাজী নামে এক ব্যক্তি। তাদের ধারণা গোডাউনে মাদকসেবীদের মাদকের আগুণ থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। স্থানীয়দের দাবি, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় এই গোডাউনের পাশেই সিলিন্ডার গ্যাস ও জ্বালানি তেলের বড় একটি দোকান রক্ষা পেয়েছে। এ ছাড়াও, ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে রেলস্টেশন, স্টিমার ঘাট ও মাছ ঘাট। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক পাশ্ববর্তী সিলিন্ডার গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দোকানি বলেন, আলী হোসেন গাজি রেলের পরিত্যক্ত ঘর দখল করে অবৈধভাবে ককসিট রেখে ব্যবসা করছেন। তার জন্যে এইখানে আরো ৩ বার আগুণ লেগেছিল। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবত বলেন, রেলের পরিত্যক্ত ঘরে ককসিট রেখে ব্যাবসা করতে আমরা তাকে বহুবার বারণ করেছি। তার এই ককসিট থেকে এর আগেও আগ্নিকান্ড ঘটেছে।চাঁদপুর রেলস্টেশন মাস্টার শোয়েবুল শিকদার বলেন, ‘আমাদের ওই পরিত্যক্ত ঘরে কেউ থাকেন না। তবে সেখানে মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীরা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত ককসিট রাখতেন। তবে পুড়ে যাওয়া ককসিটগুলো কার বা কীভাবে আগুন লেগেছে তা আমার জানা নেই।’ চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু এর আগেই স্থানীয়রা ডাকাতিয়া নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ কারণে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে মাছ ঘাট, স্টিমার ঘাট ও রেলস্টেশন। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’