দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শেষ সময়ে বেচা-কেনা ও ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত করেই চলছে বেচা-কেনা।সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সবথেকে বড় সাপ্তাহিক হাট রানিগঞ্জে জমজমাট ভাবে হাট হলেও মানা হয়নি করোনা নিয়ন্ত্রণের সরকারি বিধিনিষেধ।
হাট ইজারাদার স্বাস্থ্যবিধি মানার দাবি করলেও বেশির ভাগ ক্রেতা বিক্রেতাদেরকে মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি। মানা হয়নি কোনো সামাজিক দূরত্ব। পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় সরকার ১২ দফা নির্দেশনা দিলেও এসবের অধিকাংশই মানা হচ্ছে না এই পশুর হাটে। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আশেপাশের এলাকা থেকে হাটে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। বেচাবিক্রি চলছে জমজমাট। ক্রেতারা বড় গরুর চেয়ে ছোট গরু কিনছেন বেশি। আকার আকৃতি ও ওজন ভেদে প্রতিটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকায়।উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রুমানা আক্তার রোমী জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলায় সাপ্তাহিক হাটের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “অনলাইন কোরবানির বাজার, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর” নামে গবাদিপশু বিক্রির জন্য রয়েছে কোরবানির পশুর হাট।
এ উপজেলায় ২,৮০০ টি খামারে কোরবানির জন্য ৯,৯৫১ টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার চাহিদা ৭,৫০০ টি ছাড়াও ২,৯৫১ টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।