গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩ টি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পুলিশ ও র্যাবের লাঠিচার্জের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা হলরুমে রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন আঞ্চলিক কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন এ তদন্তের শুনানী গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিব, উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিএস বজেন্দ্র নাথ। তদন্ত শুনানীকালে উভয় পক্ষের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে যুবলীগ নেতা আব্দুল কাইয়ুম সরকার সহ পথচারী অনেকেই আহত হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। তদন্ত শেষে নির্বাচন আঞ্চলিক কর্মকর্তা স্থানীয় সাংবাদিকদের তদন্ত সম্পর্কিত বিষয়ে বিফ্রিং দেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাইগুনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮ নং ওয়ার্ডের হিয়াতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ডি প্রার্থী আইয়ুব আলী (চশমা) প্রতিক নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অপর দিকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শিংজানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এসে পৃর্থক ভাবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ডি প্রার্থী গোলাম কাদির মিঠু (আনারস) প্রতিক অভিযোগ দায়ের করেন। সেই দু’টি অভিযোগের আলোকে নির্বাচন কমিশন থেকে তদন্ত করে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত তদন্তে নির্বাচনের সাথে জড়িত ওই ৩ টি কেন্দ্রের সকল কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্ডি প্রার্থীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।