স্টাফ রিপোর্ট: দা দিয়ে গলা কেটে জবাই করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্সণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম রাজাইয়ে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত’র নাম আবুল কালাম ওরফে স্পাই কাল্লু (৫২)। সে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই সীমান্ত গ্রামের মৃত লোকমান মুন্সীর ছেলে।
চার সন্তানের জনক আবুল কালাম ওরফে স্পাই কাল্লু ভারতীয় বিএসএফের কথিত স্পাই (সোর্স) আন্ত:সীমান্তের ভারতীয় মাদক ও বিড়ি চোরাকারবারী হিসাবে এলাকায় পরিচিতি মুখ। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ভিকটিমের পরিবার জানান, শনিবার সকালে উপজেলার রাজাই গ্রামের আবুল কালাম ওরফে কাল্লু প্রতিবেশী কয়লা শ্রমিক দম্পতির ১০ বছরের শিশু কন্যা স্কুল ছাত্রীকে মুরগীর বাচ্চা ধরার কথা বলে নিজ ঘরে ডেকে নেয়। এরপর বসতঘরে পরিবারে অন্যরা না থাকায় দা দিয়ে গলা কেটে জবাই করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।ধর্ষণের কথা পরিবার বা অন্য কাউকে জানালে মা বাবা পরিবারের লোকজন নদীতে কয়লা উক্তোলনে চলে গেলে ফাঁকা বাড়িতে একা থাকার সময় দা দিয়ে গলা কেটে জবাই করে মেরে ফেলারও ভয় দেখানো হয় ওই ষ্কুল ছাত্রীকে।
শনিবার বাদ মাগরিব মা বাবা পরিবারের লোকজন নদীতে থেকে কয়লা উক্তোলন শেষে বাড়ি ফিরলে ধর্ষণের বিষয়টি ওই স্কুল ছাত্রী জানায়। শুধু শনিবার সকালেই ধর্ষণ নয় এর পুর্বে বিগত ৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) উপজেলায় সাত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহনের দিন আবুল কালাম ওরফে কাল্লু ভয় দেখিয়ে আরো একবার ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলেও পরিবারের লোকজনকে জানায়।শনিবার রাতে উপজেলার রাজাই গ্রামের ভিকটিমের মা-বাবা কয়লা শ্রমিক জানান, আমাদের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের বিষয়টি এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও থানা পুলিশকে জানিয়েছি। শনিবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, স্কুল ছাত্রীর বাবা মা ভিকটিমকে সাথে নিয়ে স্বশরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি জানিয়েছেন। এ ব্যাপরে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।,