মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউরা চা বাগানে প্রতিবেশির দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলায় বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা’র স্ত্রী রুপাবতী হাজরার মৃত্যূর প্রতিবাদে খুনিদের ফাঁসি ও বাগান থেকে উচ্ছেদের দাবীতে কালিখাট ইউপি ভাড়াউরা,খাইছড়া,ভূরভুড়িয়া এই তিনটি বাগানের চা শ্রমিকরা আজ সোমবার (৯ আগষ্ট) দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে ১ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করে নিকৃষ্ট ও সন্ত্রাসীকায়দায় দেশীয় অস্ত্র দ্বারা হত্যা করেন এর প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পালন করে।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় শ্রমিকদের দাবীর প্রতি একমত প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন বাগান ব্যবস্থাপক জি এম শিবলী,প্রাক্তন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পরাগ বারই,পঞ্চায়েত সভাপতি নূর মিয়া, সেক্রেটারী সজল হাজরা, সাবেক পঞ্চায়েত সভাপতি উজ্জল হাজরা, শ্রমিক নেতা পংকজ কন্দ প্রমুখ।বাগানের শ্রমিক,ছাত্র,যুবক,যুবতী ও বাগান পঞ্চায়েত সদস্যদের সমাবেত অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।উল্লেখ্য, গত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গরুর গোবর সরানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর হামলায় রূপবতী হাজরা (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। হামলায় রূপবতীর ছেলে সাধন হাজরা ও সাধনের স্ত্রী সাথী হাজরা আহত হন।
রোজ বুধবার (৪ আগষ্ট) বিকালে ভাড়াউড়া চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রূপবতী হাজরা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিজয় হাজরার স্ত্রী।সাধন হাজরা জানান, বিকালে তার মা গরুর গোবর বাসার সামনে নিয়ে ফেলেন। তখন তাদের প্রতিবেশী মৃত হিরালাল বাহাদুরের ছেলে লাল বাহাদুর এসে গোবর সরিয়ে নিতে বলেন এবং তার বাবার নাম ধরে গালিগালাজ দিতে থাকেন। পরে সাধন এসে তাকে থামতে বললে, লাল বাহাদুর ও তার দুই ভাই ধন বাহাদুর এবং আসুবাহাদুর তাদের ওপর হামলা চালান। এ হামলায় তারা তিনজন আহত হন।
আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সাধন ও তার স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়। আর গুরুতর আহত রূপবতী হাজরাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি দেখে পাঠানো হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে।বৃহস্পতিবার (৫আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৬ ঘটিকায় মূল আসামীর সহ ৫ জনকে সিন্দুরখান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে লাল বাহাদুর হাজরা(৩৭) পিতা মৃত হীরা লাল হাজরা, বিকাশ হাজরা(২৩), রিপন হাজরা (১৯) এবং লাল বাহাদুর হাজরা, তারা একে অপরের আপন ভাই, পিতা মৃত সুধাময়ী হাজরার সন্তান। এদের সাথে সহযোগিতায় ছিলেন ধনেশ্বরী হাজরা (৪৫) একা হাজরা স্বামী মৃত সুধাম হাজরা। সকলেই ভাড়াউড়া চা বাগানের বাসিন্দা। হত্যার অভিযোগে মোট ৫ জনকে গ্রেপতার করে মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।