সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের স্থানীয় বাজারের উত্তর-পশ্চিম পাশে খাশিয়ামারা নদী দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এসব দোকানঘর নির্মাণ করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, বর্ষা মৌসুমে বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বঅঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার পানি খাশিয়ামারা নদী দিয়ে চিলাই নদী হয়ে সুরমা নদীতে প্রবাহিত হয়। ওই সময় নদীতে পানির চাপ বেড়ে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। তীর ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করার কারণে পানির স্রোত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে আশেপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত চচ্ছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাবাজারের উত্তর-পশ্চিম দিয়ে বয়ে চলা খাশিয়ামারা নদীর দক্ষিন পাড় ঘেঁষে নদীর পাড় ভরাট করে এসব দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন নদী দখল হচ্ছে,তেমনি অন্যদিকে নদী দিয়ে পানি চলাচলের বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে বাজার থেকে উত্তর পাশের কুশিউরা গ্রামের সাথে সংযোক্ত চলাচলের ব্রিজের গুড়ায় স্থাপনা করায় হুমকিতে রয়েছে চলাচলের জনগুরুত্বপূর্ন এ ব্রিজটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেন জানান, অবৈধভাবে নদী দখল করে বসতঘর ও দোকানঘর নির্মাণ করায় নদীর আশেপাশের এলাকা হুমকিতে রয়েছে। তাছাড়াও নদীতে থাকা সেতুর একপাশের মুখে দোকানঘর নির্মান করায় সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে আছে।
সেতুটির ক্ষতি হলে বাংলাবাজারের সঙ্গে কুশিউরা গ্রামসহ উত্তরাঅঞ্চলের কয়েকটি এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নদী দখল করে রাখা অবৈধ স্থাপনা গুলো উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে তিনি উপজেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান। নদীর তীরে নির্মাণাধীন দোকান ঘরের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, তার বাবা মৃত পল্লী চিকিৎসক ডাঃ বারেক মিয়া মারা যাওয়ার পূর্বে ভূমি অফিস থেকে বন্ধোবস্ত এনে দোকান ঘর নির্মান করেছেন এর বেশি কিছু জানা নেই। নদীর তীরে নির্মাণাধীন আরেক দোকান মালিক ইয়াসিন মিয়াসহ একাধিক দোকান মালিক জানান.অঙ্গাত এক ব্যাক্তি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নেওয়া বন্ধোবস্তের কাগজের ভিত্তিতে তারা নির্মানাধীন দোকান কোটা ক্রয় করেছেন। পূনরায় বন্ধোবস্তের জন্য আবেদন করবেন বলে ও জানান তারা। দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমদ জানান নদী দখল করে স্থাপনা করা অবৈধ। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।