কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিধবা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতাভুগীদের সমস্যা সমাধানে সুবিধাবঞ্চিত ভাতাভোগীদের থেকে সময় নিলেন ১৫ দিন,কুাষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মরত উপ-পরিচালক (ডি ডি) মোছাঃ রোকসাানা পারভিন।(৮ সেপ্টেম্বর-২০২১) বুধবার দুপুরে সকল ভাতাভোগীদের সাথে কথা বলে এ সময় নেন তিনি।তিনি জানান,দৌলতপুর উপজেলা একটি বৃহত্তম উপজেলা যেখানে প্রায় ৩২ হাজার লোক এই প্রতিবন্ধী বিধবা ও বয়স্ক ভাতার আওতায় আছে।
ভাতার টাকা যেন সহজেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং এর নগদের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে সেই টাকা ভাতাভোগীদের কাছে পৌঁছানোর কথা।কিন্তু কিছু ত্রুটির কারণে সেই টাকা ভাতাভোগীদের কাছে না যাওয়াটা দুঃখজনক ব্যাপার।দৌলতপুর উপজেলায় এ ধরনের সমস্যা প্রায় ৫৩৬ জন ভাতাভোগীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে যেটা একদিনে সমাধান করা সম্ভব না।
তাই দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে একটি সমাধান আনার চেষ্টা করছি আমরা।এর আগে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনশন কর্মসূচি পালন করেন তারা।পরে রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ নারী- পুরুষ তাদের অনশন ভঙ্গ করেন।
জানা যায়,দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পুরোনো আমদহ গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিধবা,বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী শতাধিক নারী-পুরুষ এক বছর ধরে তাদের সরকারি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না।টাকা পেতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সমাজসেবা কর্মকর্তা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় সমাধান চেয়েও পাননি।
কার্ডধারী অসহায় এসব নারী-পুরুষ অভিযোগ করেন,এক বছর ধরে যে মোবাইল নম্বরগুলোতে ভাতার টাকা ঢুকেছে সে নম্বরগুলো তাদের নয়।তাদের পরিবর্তে অন্য ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বরে এসব টাকা ঢুকেছে।তারা জানান,২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভাতার টাকা পেয়েছেন তারা।এরপর তাদের জানানো হয়,মোবাইলে মেসেজ গেলে টাকা পাবেন।কিন্তু এক বছর ধরে তারা কোনো মেসেজ পাননি।
জানা যায়,প্রায় এক বছর ধরে ভাতার টাকা না পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন।ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা দফায় দফায় তাদের অনশন ভঙ্গ করার অনুরোধ জানিয়ে ব্যর্থ হন।পরে রাত ১১টার দিকে সমস্যা সমাধান করা হবে এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অনশন ভঙ্গ করেন।
পিয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ লালু বলেন,এসব ভাতার টাকা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাঠ পর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মচারীরা যোগসাজশ করে আত্মসাৎ করেছেন।প্রকৃত ভাতা যারা পাবেন তাদের পরিবর্তে ভুয়া নামে তালিকা প্রস্তুত করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।