মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলস্টেশন। পূর্বাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন হিসেবে সুপরিচিত স্টেশন এটি। এই স্টেশন থেকে একটি শাখা লাইন কুলাউড়া-শাহবাজপুর-মহিশাসন স্টেশন হয়ে ভারতের আসামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনটি রি-মডেলিং করা হলেও এরপর আর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। বর্তমানে স্টেশনটির চেহারা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, এই স্টেশনটিতে গত দুই বছর যাবৎ কোনো স্টেশন মাস্টার নেই। ৪ জনের স্থলে ৩ জন স্টেশনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। নেই কোনো টিসিও (টিকেট কালেকটার)। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা গেইটে যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করে। স্টেশনের ভিতরে নেই কোনো পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।
ট্রেনের জন্য স্টেশন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার আসন নেই বললেই চলে। বিদ্যুৎ চলে গেলে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদেরকে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্বল্প ব্যয়ের সোলার লাইট পর্যন্ত এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লাগানো হয় নি। কড়া নজরদারির অভাবে স্টেশনের প্রবেশ পথে একটি দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগান ছিল বর্তমানে বাগানটি দোকানিদের দখলে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মহিব উদ্দিন আহমদ জানান, ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে স্টেশনে মাস্টারের পদটি শূন্য হয়ে রয়েছে। বর্তমানে তিনিই ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টারের পদে দায়িত্ব পালন করছেন।স্টেশনে মাস্টারের পদ শূন্য বিষয়টি জানতে রেলের পূর্বাঞ্চলের চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট এএম সালাউদ্দিনের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন কলের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।