কুমিল্লায় চলতি বছরের গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ৪ টন গাঁজাসহ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ।এসময়ে দুই হাজারের অধিক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, জেলায় চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে আরো গতিশীল করার জন্য প্রতিটি থানায় ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করে মাদক নির্মুলে নানা কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় চলতি বছরের গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে পুলিশের অভিযানে ৪ টন ২৯ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ হাজার ৭১০ বোতল ফেনসিডিল, ৫৬৯ লিটার দেশীয় মদ, ৪৬৫ বোতল বিদেশি মদ, ৩০৬ বোতল হুইস্কি, ৭৯৯ বোতল বিয়ারসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকা। এসময়ে ২ হাজার ১৬৬ জন মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলায় মাদকের উৎস, মাদকের রুট ও মাদক প্রবণ এলাকাসমূহ চিহ্নিত করা, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত, মাদক স্পটসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং মাদক বিরোধী সংগঠনসমূহের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিটি থানায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করে কর্মকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা, মাদক বিরোধী আন্দোলন ও প্রচার, আন্তঃবাহিনীর সমন্বয়, মাদকসেবীদের কাউন্সিলিং এবং তাদের চিকিৎসার্থে উদ্যোগ, ইউনিয়নভিত্তিক মাদকমুক্ত কার্যক্রম, মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ ও পূণর্বাসন, সাজা ও বিচার, গণমাধ্যমে প্রচারে সহযোগীতা, মাদকমুক্ত ঘোষণার পরবর্তী ফলোআপ ইত্যাদি কার্যক্রম চলছে। এই কর্মপরিকল্পনা জেলায় চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে আরো গতিশীল করার পাশাপাশি মাদক নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জেলাকে মাদকমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।