কুমিল্লায় পূজামণ্ডপ হামলার ঘটনায় পিছনে প্রশাসন দায়ী।প্রশাসনের ভিতরে কিছু সম্প্রদায়িক লোক রয়েছে।যাদের সম্প্রদায়িক মনোভাবের কারনে এ ঘটনায় ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।তিনি আরো বলেন,সারাদেশে ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপ হলো।তার মাঝে ৫০টি পূজা মণ্ডপে হামলা হলো,প্রশাসন আটকাতে পারলো না কেনো? আমরা পরিষ্কার বলতে চায়,প্রশাসনের এই ব্যর্থতা প্রশাসনকে নিতে হবে।
সরকার কাছে অনুরোধ এইসব সম্প্রদায়িক সরকারী কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করুন।অন্যথায় দেশে এখনো কোনো দাঙ্গা হয়নি।হামলা হয়েছে,ভবিষ্যৎ আরো বড় দাঙ্গা হতে পারে।শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিমা,মঠ, মন্দির ভাঙচুর ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা আয়োজনে নগীর টাউন হল মাঠের মুক্তমঞ্চে গণ-অনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মুক্তমঞ্চে গণ-অনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু।এদিকে নানুয়াদীঘির পাড় পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ,প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোজাফফর হোসেন, জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু,সাংবাদিক আবেদ খান,রাষ্ট্রদূত মমতাজ উদ্দিন ও ওয়াকার্স পার্টির শাহাদাত হোসেন।এরপর তাঁরা কুমিল্লা টাউন হল মাঠের মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণ-অনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ প্রতীকী লাশ রেখে বিক্ষোভ করে।পরে তারা নগরে কালো পতাকা মিছিল বের করে।