কুমিল্লার মুরাদনগরে ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে সোমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত তিন বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিযনের নবীয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।আটককৃতরা হলেন, উপজেলার নবীয়াবাদ গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৭), কাদির মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৬) ও হেলাল মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (২২)।নিহত সোমাইয়া আক্তার (১৫) নবীয়াবাদ আঃ ওয়াদুদ সরকার ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ও নবীয়াবাদ গ্রামের গোলাম ছান্দানীর মেয়ে।
নিহতের মা রিনা আক্তার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে সোমাইয়া বাড়ির পাশে কালবাটের উপর দুই জন ছেলের সাথে কথা বলছিল। এসময় নবীয়াবাদ গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৭), হাকিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৭), হেলাল মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (২২), কাদির মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৬), কাশেম মিয়ার ছেলে ইসমাইলসহ (২৩) একদল বখাটে তাদেরকে কথা বলতে দেখে বিভিন্ন কু-রুচি মন্তব্যসহ অপমান করে। সেই অপমান সইতে না পেরে গত মঙ্গলবার বিকেলে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরে বাড়ির লোকজন তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জাকির হোসেন, শাহাদাত হোসেন ও শরীফ মিয়াকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। শুক্রবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।