কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরেই খুন হন ব্যবসায়ী রাফি সারোয়ার। রোকসানা আক্তার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী কথা কাটাকাটির জেরে তাকে হত্যা করেন। মামলায় গ্রেফতারকৃত নারী রোকসানা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোকসানা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ক্ষুদ্র বি-বাড়িয়া গ্রামের আবুল খায়েরের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে কুমিল্লা নগরীর নুরপুর উত্তর পাড়া চৌমুহনী এলাকায় বসবাস করছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সহিদুর রহমান জানান, নগরীর নুরপুর এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাফি সারোয়ার বিকাশ, নগদ ও মোবাইল রিচার্জের ব্যবসায়ী ছিলেন। গত শনিবার তার মা সৈয়দা আক্তার বেড়াতে গেলে রাফি ওই নারীকে তার বাসায় ডেকে আনার পরই নৃশংস ঘটনা ঘটে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই নারী পাটার পুতা দিয়ে রাফির কপাল ও মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।
রাফিকে তিনি তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। পরদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ফিরে শয়ন কক্ষে ছেলে রাফির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তার মা। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার ও আলামত জব্দ করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় সোমবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাফির পরকীয়া প্রেমিকা রোকসানা আক্তারকে এদিন রাতেই গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয় ।
ওসি মো. সহিদুর রহমান আরো জানান, রাফি হত্যাকাণ্ডটি ছিল একেবারেই ক্লুলেস ঘটনা। আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অল্প সময়ের মধ্যেই এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতার রোকসানা আক্তার পরকীয়ার বিরোধের জেরে রাফিকে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।