কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরে কয়েক যুগ ধরে পরিত্যক্ত থাকার কারণে মাদকসেবি ও অপরাধীদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগের একটি ঘর।লোকচক্ষুর অন্তরালে নিরাপদে মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয়ের নিরাপদ স্থান ছিল এ ঘর।ঘরের চতুর্পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থাকার কারণে সাধারণ মানুষ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যাতায়াত তেমন ছিল না।
ফলে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও অপরাধীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল এ ঘরে।বখাটে ও মাদকসেবীদের উৎপাতের কারণে ওই ঘরের আশপাশের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ও আতঙ্কিত ছিলেন।ওই ঘরের পাশেই উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের আবাসিক ভবন থাকলেও মাদকসেবীদের উৎপাতের কারণে তিনি উক্ত ভবনে তেমন আসতেন না।
ওই এলাকার চা দোকানদার সিরাজ মিয়া,বাজারের ব্যবসায়ী নকুল সাহা,জহির আহমেদ,কাউন্সিলর কাজী বাবুল,বেলাল আহমেদ,সৈয়দ আহমেদসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী,শিক্ষক,রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান,গত ৩০/৩৫ বছর ধরে এ ঘরটি পরিত্যক্ত দেখতেছি।
এভাবে পরিত্যক্ত থাকার কারণে ঘরের আশপাশে বিভিন্ন আগাছা জন্মে বনজঙ্গলে পরিণত হয়ে যায়।অন্ধকারাচ্ছন্ন এ ঘরটিতে বসেই এলাকার চিহ্নিত বখাটে যুবককেরা নিরাপদে মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।স্থানীয় সাংবাদিকরা পরিত্যক্ত এ ঘরটিতে অবস্থান করায় মাদকসেবিদের আড্ডা বন্ধ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাংবাদিকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।তারা বলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভূমি সত্বেও ময়লা আবর্জনার স্তূপ থাকার কারণে দুর্গন্ধে ও মাদকসেবীদের ভয়ে সেখানে তেমন যাওয়া হয় না।স্থানীয় সাংবাদিকরা পরিত্যক্ত ঘরটিতে অবস্থান করায় আশপাশ এখন আলোকিত হয়েছে।আমাদেরও ওইখানে যেতে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আবদুল জলিল রিপন বলেন,স্বাস্থ্য বিভাগের এ জায়গা ও ঘরটিতে কোন কর্মকাণ্ড ছিল না।দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকার কারণে ওই এলাকায় আগাছা জন্মে বনজঙ্গলে পরিণত হয়েছে।এছাড়া মাদকসেবি ও বখাটেদের নিরাপদ আড্ডাস্থল ছিল এ ঘর।স্থানীয় সাংবাদিকরা ওই ঘরে অবস্থান নেওয়ায় আজকে ঘরসহ পরিত্যক্ত জায়গাটি আলোকিত হয়েছে।মাদকসেবিদের আস্তানা গুড়িয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা অবস্থান করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন সচেতন মহল।