কুমিল্লার চান্দিনা থানার শব্দলপুর গ্রামের মুন্সীবাড়ির মৃত মোতালেব মুন্সীর ছেলে একই উপজেলার তীরচর নয়াবাড়ি মসজিদের ইমাম আবুল বাশার (৫০) গত ২২ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত১৪ বছর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষন করে।দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষন করার ফলে উক্ত মাদ্রাসা ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গত ২৪ জুলাই ধর্ষক আবুল বাশার (৫০) তার ভাই আবু ইউসুফ এর নিকট উক্ত মাদ্রাসা ছাত্রীকে রেখে সে পালিয়ে যায়।
উক্ত বিষয়ে বর্ণিত মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়ের করার পর থেকেই ধর্ষক আবুল বাশার (৫০) পলাতক ছিল।বিষয়টি র্যাবের এর নজরে আসলে র্যাব-১১,সিপিসি-২,কুমিল্লা উক্ত ধর্ষণকারীকে আটকের জন্য তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে।
পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১,সিপিসি-২,কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ১আগস্ট গভীর রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার নূরজাহান হোটেল এর সামনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।উক্ত অভিযানে ধর্ষক আবুল বাশার (৫০) কে আটক করতে সক্ষম হয়।প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আটককৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে,সে স্থানীয় একটি মসজিদে (তীরচর নয়াবাড়ি মসজিদ) ইমামের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।
উক্ত মসজিদের ইমামের দায়িত্বে থাকার কারণে বর্ণিত মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার তাদের মেয়েকে আরবি পড়ানোর জন্য তাকে নিযুক্ত করে।উক্ত মাদ্রাসা ছাত্রীকে আরবি পড়ানোর সুবাধে তাদের বাড়িতে ধর্ষক আবুল বাশার (৫০)এর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।ধর্ষক আবুল বাশার (৫০)উক্ত মাদ্রাসা ছাত্রীকে আরবি পড়ানোর সুযোগ নিয়ে তাকে ফুসলিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করার বিষয়টি স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।ধর্ষনের মতো সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।