কুমিল্লার চান্দিনায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভাতিজাকে ফাঁসাতে নিজের মেয়ে ছালমা আক্তারকে (১৪) গলা কেটে হত্যা করেছেন বাবা সোলেমান (৪০)।বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এম. তানভীর আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।এ ঘটনায় পরিকল্পনাকারী সোলেমানের উকিল শ্বশুর আব্দুর রহমান ও প্রতিবেশী খলিলকে আটক করেছে পুলিশ।তবে সোলেমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে এখনও গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম. তানভীর আহমেদ জানান,ঘটনাটি তদন্ত করতে গেলে বাদী ও আসামীদের কথায় গরমিল পাওয়া যায়।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবা সোলেমানে,উকিল শ্বশুর আব্দুর রহমান ও প্রতিবেশী খলিল মাদরাসা ছাত্রী ছালমার হত্যার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।তিনি আরও জানান,সোলেমানের সাথে ভাতিজা শাহ জালাল ও শাহ কামালের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে ভাতিজাদের জায়গা দখলের জন্য নিজ মেয়ে ছালমাকে হত্যা করেন সোলেমান।পরবর্তীতে গতকাল বুধবার সোলেমান তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে যে সংবাদ প্রচার করেন তা ছিল সাজানো নাটক।আটক দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।ঘটনায় জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ২ অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনায় মাদরাসা ছাত্রী ছালমা আক্তারকে (১৪) গলা কেটে হত্যা করা হয়।এ ঘটনায় অজ্ঞাত তিনজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মেয়ের হত্যাকারী বাবা সোলেমান।